জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সংঘর্ষের পর সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) সকালে এই সংঘর্ষ হয়।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী আজ বুধবার (২৮ মে) দুপুর ২টায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসপাতালে সেবা দেওয়ার মতো পরিবেশ নেই। তাই জরুরি বিভাগসহ সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।’
তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত হাসপাতালে সেবাদান কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
দুপুর আড়াইটার দিকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা দেখতে পান যে, হাসপাতালের প্রবেশ ও বের হওয়ার গেট তালাবদ্ধ রয়েছে এবং অনেক মানুষ গেটের বাইরে অপেক্ষা করছেন।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিকেল সোয়া ৩টায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
গত দুই দিনে হাসপাতালটিতে দুটি অপ্রীতিকর ঘটনার পর চিকিৎসক এবং নার্সসহ হাসপাতালের কর্মীরা নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে আজ সকালে কাজ থেকে বিরত ছিলেন।
সকাল ১১টার দিকে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের একটি দল হাসপাতালের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়, এতে অন্যান্য রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষ হয়।
হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘হামলায় কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স আহত হয়েছেন এবং তাদের তাদের বাসায়ও হামলা হয়েছে।’
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বলেও জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এমএনএস